1. admin@channel7bangla24.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন

‘২৩০০ টাকা পাঠান, নাহলে ওয়ারেন্ট বের করে আপনাকে ধরা হবে’

নিউজ ৭ বাংলা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৯৯ বার পঠিত

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: অপমৃত্যু মামলায় ওয়ারেন্ট বের করার ভয় দেখিয়ে ঝালকাঠির নলছিটিতে দুই ব্যক্তির কাছে মোবাইলফোনে টাকা দাবি করেছেন এক প্রতারক। এসময় নিজেকে নলছিটি থানার এক এসআই হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরের দিকে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের মেরহার গ্রামের বাসিন্দা সোহেল খানকে ফোন করে ওই প্রতারক বলেন, ‘আপনি থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। সেটা নিষ্পত্তি করতে হবে।

আমি আদালতে আছি। এখনই ২৩০০ টাকা বিকাশে পাঠান।
না হলে ওয়ারেন্ট বের করে আপনাকে ধরা হবে। ’
অন্যদিকে একই দিনে খোদ পুলিশের কাছেই টাকা দাবি করেছেন আরেক প্রতারক।

সিআইডি প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক হিসেবে পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করেন তিনি।
এই দুই ঘটনায় উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে সোহেল খান জানান, গত ২০ আগস্ট আমার ভাইয়ের মেয়ে মানসুরা আক্তার (৯) পানিতে ডুবে মারা যায়। কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় থানায় কোনো অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলাও হয়নি। কিন্তু নলছিটি থানার এসআই মাইনুল পরিচয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে।

সোহেল জানান, ফোনে কণ্ঠটি হুঁশিয়ারি দেন, থানায় অপমৃত্যুর মামলা নিষ্পত্তি করতে ২৩০০ টাকা বিকাশে পাঠাতে। না পাঠালে ওয়ারেন্ট বের করে তাকে ধরা হবে।

মানসুরার মৃত্যুর ঘটনায় আমরা কোনো মামলা করিনি জানালে ওই ব্যক্তি বলেন, হাসপাতালে যে স্বাক্ষর দিয়েছেন সেটা দিয়েই অপমৃত্যুর মামলা এজাহার করেছি। আপনি মামলার বাদী। মামলা নিষ্পত্তিতে ২৩০০-২৪০০ টাকা খরচ। এটা কি আমি দেব? বিকেলে থানায় আপনার ভাই মিন্টু খানকে পাঠিয়ে ৯টি কাগজ নিয়ে যাবেন। কাগজে আমার স্বাক্ষর, ওসি সাহেবের স্বাক্ষর, ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের লাল কালির দাগ ও ওনার সিল-স্বাক্ষর থাকবে। খরচটা আমার দেওয়া লাগবো। টাকা লাগবে এখন। ’

এরকিছু সময় পর ওই ব্যক্তি আমার ভাই মিন্টু খানকেও টাকার জন্য দুইবার ফোন করেন।

অন্য ঘটনার বিষয়ে নলছিটি থানার এসআই এনামুল বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে। অপরপ্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে সিআইডির প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দিলীপ কুমার সাহা পরিচয় দেন। তিনি বলেন, ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য কেমিক্যাল লাগবে। টাকা পাঠানোর পর কেমিক্যাল আনা হবে।

এর কিছু সময় পর ওই ব্যক্তির পিওন পরিচয় দিয়ে আরেকজন একই কথা বলেন জানান এসআই এনামুল।

এসআই মাইনুল বলেন, প্রতারকচক্র আমার নাম ব্যবহার করে একাধিক ব্যক্তির কাছে টাকা দাবি করেছে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহিতুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box
সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা