নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। এসব অপরাধ দমনে সারা দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। অভিযানে অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে অনেককে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গ্রেপ্তারকৃতদের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন জমা পড়ছে। তবে আদালত বলছে, এখন এসব মামলায় জামিন দেওয়ার অর্থ দেশকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মামলায় জামিন আবেদনের শুনানির সময়ে আইনজীবীদের উদ্দেশে একথা বলেন।
এদিন নোয়াখালী সদর থানার খলিশ টোলা এলাকার বোরহানের জামিন আবেদন করেন আইনজীবী আবুল বাসার মো. নাসিম। ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ৭(১০)২৪ নম্বরের চুরির মামলার এজাহারের ১০ নম্বর আসামি বোরহান। গত ৭ অক্টোবর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
একইভাবে আরও কয়েকটি মামলায় জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা।
শুনানিতে আইনজীবীরা আসামিদের জামিন দেওয়ার পক্ষে বিচারককে নানা যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করেন। এসব শুনে বিচারক বলেন, যে যাই বলেন, আপাতত ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজির মামলায় জামিন হবে না। আপনারা নিজেরা বোঝার চেষ্টা করেন। এসব অপরাধের এখন কী অবস্থা!
তিনি বলেন, আমরা দেশকে আরও বিপদের মধ্যে ঠেলে দিতে পারি না। আমাদের আগে দেশ বাঁচাতে হবে।
একসময় সব আসামির জামিন মঞ্জুর হবে- বলেও জানান তিনি।
গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে মূলত প্রশাসনশূন্য হয়ে পড়ে দেশ। কারাগার ভেঙেও বেরিয়ে পড়ে অনেক অপরাধী।
তারপর পুলিশ আবার কাজে ফিরলেও, নিশ্চিত করা যায়নি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। সম্প্রতি ঢাকায় ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরি বেড়ে গেছে। বিশেষ করে মোহাম্মদপুর এলাকায় অপরাধের প্রবণতা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সেখানকার এলাকাবাসী গত ২৬ অক্টোবর মোহাম্মদপুর থানার প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।
ওইদিন রাতেই যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন আরও ৩৪ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। এভাবে রাজধানীর সব থানা এলাকা থেকে বিশেষ অভিযানে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতির অভিযোগে আসামি গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এবার এসব অপরাধে আসামিদের জামিনের বিষয়ে শক্ত অবস্থানের কথা জানালো ঢাকার আদালত।