স্পোর্টস ডেস্ক :১৪৯ রানেই অলআউট বাংলাদেশ, ফলো-অন করায়নি ভারত, দুটি সেশনও টিকতে পারল না বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে গুটিয়ে গেল ১৪৯ রানেই।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজের পর ব্যাটাররা ভারতে যেয়ে একরাশ হতাশাই উপহার দিলেন।
বাংলাদেশকে যদিও ফলো-অন করাচ্ছে না ভারত। ২২৭ রানের লিড নিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নামছে তারা। এর আগে প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ৩৭৬ রান।
প্রথম দিনের শেষটা দুর্দান্ত করে ভারত। রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার রেকর্ড জুটিতে বড় রানের পথে ছুটছিল তারা। দ্বিতীয় দিনে সেটিকে আর বাড়তে দেননি তাসকিন আহমেদ।
ইনিংসের কেবল তৃতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট এনে দেন তিনি। তার বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন জাদেজা। ১২৪ বলে ৮৬ রান করেন তিনি, অশ্বিনের সঙ্গে ১৯৯ রানের জুটি ভাঙে তার। বাংলাদেশের বিপক্ষে পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন অশ্বিন ও জাদেজা।
রেকর্ড জুটি ভাঙার পর ভারতকে অলআউট করতে খুব বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশ। ৩০ বলে ১৭ রান করা আকাশ দ্বীপ ক্যাচ দেন মিড অফে দাঁড়ানো শান্তর হাতে, এই উইকেটও পান তাসকিন।
এক ওভার পর সেঞ্চুরিয়ান অশ্বিনকেও আউট করেন তিনি। ১৩৩ বলে ১১৩ রান করে মিড অফে ক্যাচ দেন অশ্বিন। এরপর শেষ উইকেট হিসেবে বুমরাহকে ফিরিয়ে ফাইফার পূর্ণ করেন হাসান মাহমুদ।
টানা দ্বিতীয় ইনিংসে ফাইফার পেলেন তিনি। পঞ্চম বোলার হিসেবে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পান হাসান। ইনিংসে ৯টি উইকেটই নেন পেসাররা।
নিজেদের ইনিংসে নেমে বিপদে আছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের শেষ বলে বোল্ড করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ওই পরিস্থিতি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন জাকির হাসান।
২২ বলে ৩ রান করে আকাশ দ্বীপের বলে বোল্ড হয়ে যান জাকির। পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান মুমিনুল হক। তিন ব্যাটারকে হারিয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
প্রথম সেশনে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ দ্বিতীয়টিতেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। দুই ওভার পরই সাজঘরে ফেরত যান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩০ বলে ২০ রান করে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
পরের ওভারে ফেরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। ১৪ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। এরপর সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন লিটন দাস। কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
৪২ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরত যান লিটন। তার বিদায়ের পর বোলারদের নিয়ে লড়াই শুরু হয় মেহেদী হাসান মিরাজের। কিন্তু ২২ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যান হাসান মাহমুদ। মিরাজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৭ রান নিয়ে।
ভারতের হয়ে ৫০ রানে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন বুমরাহ। দুটি করে শিকার সিরাজ, আকাশ ও জাদেজার।