ক্রীড়া প্রতিবেদক : গতকালও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) হাজির হয়েছিলেন বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। আজ সেই পদ থেকেই পদত্যাগ করলেন। তার পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করেছেন বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
খালেদ মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি। তবে সিইও জানিয়েছেন বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজের পদত্যাগপত্র বিসিবিকে পাঠিয়েছেন খালেদ মাহমুদ। বক্তিগত কারণ দেখিয়ে পরিচালক পদ থেকে সরে গেলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।
এর আগে জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রাহমান দুর্জয় পদত্যাগ করেন পরিচালক পদ থেকে। জালাল ইউনুস, নাজমুল হাসান পাপন ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের পর দুজন সাবেক অধিনায়ক পরিচালক পদ ছাড়লেন।
নাজমুল হাসান পাপনের মতোই তিন মেয়াদে বোর্ডে পরিচালক ছিলেন সুজন। পরিচালক পদের পাশাপাশি বিসিবির গেম ডেভলমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান, ক্রিকেট অপারেশন বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান এবং আম্পায়ার্স কমিটির সদস্য ছিলেন।
তার কাজের ধরন ছিল সাংঘর্ষিক। পরিচালক হয়েও ডিপিএল এবং বিপিএলে কোচিং করাতেন। ছিলেন জাতীয় দলের ম্যানেজারও। এছাড়া রাজশাহীতে একটি একাডেমিতেও কোচিং করাতেন তিনি।
গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগে কাজ করার সময় তার হাত ধরেই বাংলাদেশ যুব বিশ্বকাপের শিরোপা যেতে। জাতীয় দলে কাজ চলাকালীন কোচদের সাথে দ্বন্দের খবরও চাউর হয়। যদিও বারবার গণমাধ্যমে অস্বীকার করেছেন এমন অভিযোগ।
রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও খালেদ মাহমুদ সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসানের কাছের লোক ছিলেন। আবাহনী কোচ থাকায় বাড়তি সুবিধা আদায় করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সব কিছু মিলিয়ে নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডে তিনি ছিলেন বিতর্কিত একজন। নানা জটিলতায় সব পদ থেকে সুজন সরে দাঁড়ালেন।