আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম চুন্নু : জেলার ৭ টি উপজেলার মধ্যে সর্ব দক্ষিণের উপজেলা হচ্ছে গোসাইরহাট।এটি শরীয়তপুর জেলা সদর থেকে ১৬ কি: মি: দূরে অবস্থিত।এর আয়তন ১৯৬.৭২ বর্গকিলোমিটার।লোকসংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজারের অধিক। মেঘনা নদীবেষ্টিত অবহেলিত গোসাইরহাট ১৯১৮ সালে ১ম থানা প্রতিষ্ঠা পায়।১৯৮৩ সালের ১৫ জুলাই উপজেলার স্বীকৃতি লাভ করে। ১০৭ টি মৌজা,২১১ টি গ্রাম,১ টি পৌরসভা ও ৮ টি ইউনিয়ন নিয়ে গোসাইরহাট উপজেলা।ইউনিয়নগুলো হচ্ছে সামন্তসার,নাগেরপাড়া,ইদিলপুর,আলাওলপুর,নলমুড়ি,কোদালপুর,কুচাইপট্টি ও গোসাইরহাট। উপজেলার মোট ভোটারসংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬ শত ৭৩ টি। আগামী ২৯ মে ৩য় ধাপে এই উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।এখানে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হবার সম্ভাবনা লক্ষ করা যাচ্ছে। পোস্টার,ব্যানার,লিফলেটে ছেয়ে গেছে পুরো উপজেলা। প্রার্থীরা কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে মধ্যরাত অবধি নাওয়াখাওয়া ভুলে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।সকল প্রার্থীরা দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে ভোটারদের সাথে নামাজ আদায় করছেন।পোশাকের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবি ও টুপিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়,সাবেক ছাত্রনেতা,বিশিষ্ট সমাজসেবক, একজন কর্মীবান্ধব,নিবেদিতপ্রাণ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মতিউর রহমান (মিন্টু বেপারী) প্রচার প্রচারণায় সব চাইতে এগিয়ে।তিনি প্রচারণার কৌশল পাল্টেছেন।তিনি অনেকটা কচ্ছপ গতিতে এগুচ্ছেন। এই প্রার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়,তিনি বলেন আমি সবসময় মানুষের পাশে থেকেছি,আমার সাথে মানুষ মন খুলে কথা বলতে পারে।আমি নির্বাচিত হলে উপজেলার ১)অসচ্ছল,অক্ষম, বিধবা,ভূমিহীন ও গৃহহীনদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও তাদের মধ্যে সুষম বন্টনের ব্যবস্থা করবো ২) সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ও পরিচর্যার মাধ্যমে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করবো ৩) উপজেলায় অনলাইনভিত্তিক সেবা নিশ্চিতকরণ ৪) স্মার্ট উপজেলায় রূপান্তরিত করা ৫) উপজেলা শিক্ষা বৃত্তি প্রকল্প চালুকরণসহ জনগণের সকল সেবামূলক কাজে সহযোগিতা করবো। ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এবার নতুন মুখ দেখতে চায়।অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে মতিউর রহমান মিন্টু বেপারী বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবে।কারণ আমরা যখন তাকে ডাকি উনি আমাদের মাঝে চলে আসেন।গরীব, অসহায়দের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। তিনি নামাজি,অত্যন্ত ভদ্রলোক, বিনয়ী স্বভাবের। আমরা মিন্টু ভাইয়ের জন্য প্রাণভরে দোয়া করি তিনি বিজয়ী হলে পুরো উপজেলাবাসী একজন ভালো ও যোগ্য মানুষ পাবে।এজন্য আমাদেরকে আর মাত্র ৩ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।