ক্রীড়া প্রতিবেদক :
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ২৪০/১০ (৫০ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া: ২৪১/৪ (৪৩ ওভার)
ভারতকে উড়িয়ে, ভারতকে স্তব্ধ করে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। একমাত্র দল হিসেবে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপের ট্রফির দেখা পেলো মাইটি অস্ট্রেলিয়া। ভারতের দেওয়া ২৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া। রান তাড়ায় নেমে মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন হেড। ১২০ বলে তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ১৩৭ রান। ৫৮ রান করেন লাবুশানে। ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দুজনের ১৯২ রানের জুটি ভারতকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন বুমরাহ।
হেডের সেঞ্চুরি, উড়ছে অস্ট্রেলিয়া
কুলদীপের বলে সিঙ্গেল নিয়ে মাত্র ৯৫ বলে সেঞ্চুরির দেখা পান হেড। একই ওভারে টানা দুই চারের মারে সেঞ্চুরির কাছে যান। ৬৪ ওয়ানডেতে হেডের এটি পঞ্চম শতক। শুরুতে ৩ উইকেট হারানোর পর তার ব্যাটে ভর করেই মূলত ম্যাচের নাটাই হাতে নিয়ে নেয় অস্ট্রেলিয়া। তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন লাবুশানে। সপ্তম ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ট্রাভিস হেড। আর রান তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরির দেখা পান এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১৯৯৬ সালে অরবিন্দ ডি সিলভা সেঞ্চুরি হাঁকছিলেন রান তাড়া করতে নেমে। আর এবার হেড। শেষ পর্যন্ত তিনি আউট হন ১৩৭ রান করে। ১৫টি চার ও ৪টি ছয়ে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল।
হেড-লাবুশানের সেঞ্চুরির জুটিতে নাটাই অস্ট্রেলিয়ার হাতে
৪৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে দারুণ শুরুর বার্তা দিয়েছিল ভারত। এরপরের গল্প শুধু অজিদের। লাবুশানেকে সঙ্গে নিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়েন হেড। দুজনের সেঞ্চুরির জুটিতে ম্যাচের নাটাই এখন অস্ট্রেলিয়ার হাতে। ১১৯ বলে দুজনের জুটির শতরান পূর্ণ হয়। উইকেটের খোঁজে মরিয়া ভারত। ১২০ বলে ৭৪ রান প্রয়োজন অজিদের, হাতে ৭ উইকেট।
হেডের ফিফটি
বিপর্যয় সামলে ১৯.১ ওভারে দলীয় শতরান পার করে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় শতরানের পর হেড তুলে নেন মহাগুরুত্বপূর্ণ ফিফটি। ৫৮ বলে ৬টি চার ও ১টি ছয়ে ফিফটির দেখা পান হেড। লাবুশানের সঙ্গে জুটিতে ফিফটি পেরিয়ে গেছে আগেই, এখন দুজনে চাপমুক্ত থেকে খেলার চেষ্টা করছেন। এদিকে ভারত মরিয়া হয়েছে একটি উইকেটে খোঁজে।
ফিফটির জুটিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরোধ
শামি-বুমরাহর আক্রমণে ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। নতুন ব্যাটার লাবুশানেকে সঙ্গে নিয়ে সেই ধাক্কা সামলে পালটা প্রতিরোধ গড়েছে দলটি। দুজনের জুটি থেকে ইতিমধ্যে ৭১ বলে ৫০ রান আসে। এর আগে পানি পানের বিরতিতে হয়ে যায় দৃষ্টি নন্দন লেজার শো। এদিকে শিশিরের প্রকোপ বাড়ছে। সেটি থেকে রক্ষা পেতে দেওয়া হচ্ছে স্প্রে।
এবার বুমরাহর শিকার স্মিথ, ভারতের দুর্দান্ত শুরু
এবার বুমরাহর স্লোয়ার অফ কাটারে পরাস্ত স্মিথ। বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে লাগে পায়ে। জোরালো আবেদনে সারা দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেননি অজি ব্যাটার। পরে দেখা যায় স্মিথ ভুল করেছেন, রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন। ৪ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ওয়ার্নার-মার্শের পর স্মিথের আউটে বিপাকে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে ভারতের শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। ক্রিজে হেডের সঙ্গী লাবুশানে।
বুমরাহর আঘাতে মার্শের বিদায়
আগের ওভারে শামিকে মিড অফের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে যেন রান করার বার্তা দিয়েছিলেন মার্শ। এমন আগ্রাসী ব্যাটিং অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি। পরের ওভারেই যে বুমরাহর বলে কাটা পড়লেন উইকেটের পেছনে। আউট সাইড অফের শর্ট বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট চালিয়ে ভুল করে বসেন মার্শ, ব্যাটার কানায় লেগে বল যায় উইকেটের পেছনে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ১৫ বলে ১৫ রান করেন মার্শ। ক্রিজে ওপেনার হেডের সঙ্গী স্মিথ।
সেই ওয়ার্নারকে ফেরালেন শামি
বুমরাহর প্রথম বলেই খোঁচা দেন ওয়ার্নার। বল যায় প্রথম স্লিপে থাকা বিরাট কোহলির পাশ দিয়ে। পাশেই দ্বিতীয় সিপ্লে ছিলেন শুভমান গিল। কিন্তু তারা শুধু চেয়েই দেখেন, আর কিছু করার ছিল না। আউটের বদলে হয়ে যায় চার। প্রথম ওভারে ১৫ রান দেন বুমরাহ। দ্বিতীয় ওভারে শামি এসেই তুলে নেন ওয়ার্নারকে। এবার খোঁচা দিলে স্লিপে ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি কোহলি। ৩ বলে ৭ রান করেন ওয়ার্নার। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২৪ উইকেট এখন শামির। টপকে যান জাম্পাকে। ক্রিজে হেডের সঙ্গী মার্শ। উইকেট হারালেও উড়ন্ত শুরু করে অস্ট্রেলিয়া।
ফাইনালের মঞ্চে ২৪০ রানে অলআউট ভারত
যথাসময়ে এসে ভারতের ব্যাটাররা ব্যর্থ। বিরাট কোহলি-লোকেশ রাহুলের ফিফটিতে কোনো মতে ২৪০ রানে অলআউট হয় ভারত। চলতি বিশ্বকাপের ফাইনালে এসে প্রথম অলআউটের স্বাদ পেলো রোহিত শর্মার দল। রাহুল সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন। কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রান। শুরুতে রোহিত শর্মা ৪৭ রানের ইনিংস খেলে ঝড়ো শুরুর আভাস দিলেও সমানতালে লড়তে পারেননি ব্যাটাররা। শেষ দিকে হতাশ করেছেন রবীন্দ্র জাদেজা (৯) ও সুরিয়া কুমার যাদব (১৮)। অজিদের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন মিচেল স্টার্ক ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। স্টার্ক সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আর কামিন্স ১০ ওভারে মাত্র ৩৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
৫ ডিসমিসালে ইংলিশের রেকর্ড
ভারতীয় ব্যাটাররা একের পর এক উইকেটের পেছনে খোঁচা দিচ্ছেন, আর উইকেটরক্ষক জস ইংলিশ তালুবন্দি করছেন। একে একে পাঁচটি ডিসমিসাল করেন ইংলিশ। বিশ্বকাপ ফাইনালে যা রেকর্ড।
লাখো দর্শককে নিশ্চুপ করে চলছে অজিদের উল্লাস
উইকেটের মিছিলে এবার মোহাম্মদ শামি। চলছে অস্ট্রেলিয়ার উল্লাস। একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে তাদেরই মাটিতে চাপে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। নিশ্চুপ লাখো দর্শকে ভরপুর নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। দলীয় ২১১ রানে শামির উইকেট হারায় ভারত। শামির পর ক্রিজে এসে ফেরেন বুমরাহ। ভারতের উইকেটের মিছিল চলছে। ফুল বলে পরাস্ত হন বুমরাহ, বল লাগে পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ৩ বলে ১ রান করেন এই পেসার। ক্রিজে সুরিয়ার সঙ্গী কুলদীপ। । কিন্তু তিনি হাত খুলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না।
এবার রাহুলের বিদায়ে বিপাকে ভারত
রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে ব্যাক অব লেন্থে অফে বল ছুঁড়েন স্টার্ক। তাতেই পরাস্ত ভারতকে ভরসা দেখানো রাহুল। খোঁচা দিয়ে বসেন রাহুল, বল চলে যায় ইংলিশের গ্লাভসে। ১০৭ বলে মাত্র ১টি চারে ৬৬ রান করেছিলেন রাহুল। এক প্রান্তে টিকে থেকে দলের সংগ্রহ দুইশ পার করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। প্রয়োজন ছিল শেষ পর্যন্ত থেকে চ্যলেঞ্জিং স্কোর এনে দেওয়া। কিন্তু পারলেন না। ক্রিজে সুরিয়ার সঙ্গী শামি।
রাহুলের ফিফটির পর সাজঘরে জাদেজা
জস হ্যাজলউডের আউট সাইড অফের বলে পরাস্ত রবীন্দ্র জাদেজা। বিপদের মুহুর্তে খোঁচা দিয়ে বসেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি জস ইংলিশ। কোহলির আউটের পর জাদেজাকে নিয়ে এগোচ্ছিলেন রাহুল। ২২ বলে ৯ রান আসে জাদেজার ব্যাট থেকে। ক্রিজে এলেন সুরিয়া কুমার যাদব। ভারতের শেষ ভরসার জুটি রাহুল-সুরিয়া।
স্রোতের বিপরীতে রাহুলের ফিফটি
স্টার্কের শর্ট অব লেন্থের বল অফে ঠেলে দিয়ে ভোঁ দৌড় দেন লোকেশ রহুল। স্রোতের বিপরীতে দাঁচাপের মুহুর্তে ফিফটির দেখা পান এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৮৬ বলে ফিফটিতে চারের মার ছিল মাত্র ১টি! বাকি রান আসে স্ট্রাইক রোটেট করে। প্রথমে কোহলির সঙ্গে ফিফটির জুটি গড়ে দলের হাল ধরেছিলেন, কোহলি ফিরলে জাদেজাকে নিয়ে এগোতে থাকেন।
ফিফটির পর বোল্ড কোহলি, বিপাকে ভারত
কামিন্সের শর্ট অব লেন্থের ডেলিভারিতে পরাস্ত কোহলি! ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ব্যাটে-বলে এক হয়নি। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল ভেঙে দেয় উইকেট। লাখো দর্শকে মুখোরিত নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম তখন রূপ নেয় শশানে। ৪টি চারের মারে ৬৩ বলে ৫৬ রান করেন কোহলি। পরপর ২ উইকেট হারানোর পর কোহলি-রাহুল জুটিতে আশা দেখছিল ভারত। তার আউটে ভেঙে যায় ১০৯ বলে ৬৭ রানে জুটি। ক্রিজে রাহুলের সঙ্গী রবীন্দ্র জাদেজা।
৯৭ বল পর বাউন্ডারির দেখা
১৬.১ ওভার কোনো বাউন্ডারি দেখা যায়নি কোহলি-রাহুলের ব্যাটে। দুজনের মনোযোগ থিতু হয়ে খেলার নাটাই নিজেদের হাতে নেওয়া। সেদিকেই এগোচ্ছেন দুজনে। জুটির ফিফটির পর কোহলিও দেখা পান ফিফটির। আসে বাউন্ডারিও। জাম্পাকে প্যাডেল সুইপ করে বাউন্ডারির বাইরে পাঠান রাহুল।
জুটির ফিফটির পর কোহলির ফিফটিতে স্বস্তিতে ভারত
অ্যাডাম জাম্পাকে লং অনে খেলে সিঙ্গেল নেন বিরাট কোহলি। ৫৬ বলে কোহলি দেখা পান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭২ তম ফিফটির। রাহুলের সঙ্গে জুটি গড়ে কোহলির ফিফটিতে কিছুটা স্বস্তিতে ভারত। টানা দুই বিশ্বকাপে টানা পাঁচটি ইনিংসে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে পঞ্চাশের বেশি রানের কীর্তি গড়েন কোহলি। রোহিতের পর শ্রেয়স আইয়্যার মাঠে এসেই ফেরায় বিপাকে পড়েছিল দলটি। কোহলি-রাহুল ঠাণ্ডা মেজাজে এগোচ্ছেন, দুজনের জুটি ইতিমধ্যে ফিফটি ছড়িয়ে যায়।
কোহলি-রাহুলে ভারতের প্রতিরোধ
রোহিতের পর আইয়্যারের বিদায়ে বিপাকে পড়ে ভারত। এরপর ক্রিজে আসেন লোকেশ রাহুল। নতুন ব্যাটার রাহুলকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন বিরাট কোহলি। দুজনে ধীরে খেলে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে ৪০ রান আসে দুজনের জুটি থেকে। চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ার জন্য দুজনের একটা লম্বা জুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভারতের জন্য। কোহলি-রাহুল তাই করছেন।
ফিলিস্তিনে পতাকা নিয়ে মাঠে দর্শক
ভারতের ইনিংসের ১৪তম ওভারে, ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধের দাবিসমৃদ্ধ টি শার্ট ও মাস্ক পরে ফাইনালের মাঠে অনুপ্রবেশ এক দর্শকের। বিরাট কোহলিকে জড়িয়ে ধরেন সেই দর্শক।
রোহিতের বিদায়, অস্ট্রেলিয়া শিবিরে স্বস্তি
পেসারদের মার খেতে দেখেই কিনা অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স পাওয়ারপ্লেতেই নিয়ে আসলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। এই স্পিনারের করা দ্বিতীয় ওভারে চড়াও হয়েছিলেন রোহিত। পরপর দুই বলে চার ও ছক্কা মারার পর আরেকটি বাউন্ডারি হাকাতে গিয়েই ধরা পড়েন হিটম্যান।
ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে তুলে মেরেছিলেন, এবার যেদিকে খেলতে চেয়েছিলেন রোহিত, সেটি করতে পারেননি। ক্যাচ উঠেছিল কাভারে। পেছন দিকে ছুটে ট্রাভিস হেড নিয়েছেন দুর্দান্ত ক্যাচ। রোহিত থেমেছেন ৩১ বলে ৪৭ রান করে। ১০ ওভারে ভারত ২ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৮২ রান।
আক্রমণাত্মক রোহিত, সঙ্গ দিচ্ছেন কোহলি
শুভমান গিলের বিদায়ের পর রোহিত শর্মার সঙ্গে দলের হাল ধরেছেন বিরাট কোহলি। এসেই আক্রমণ শুরু করছেন কোহলি। সপ্তম ওভারে স্টার্কের বলে হাঁকিয়েছেন টানা তিন চার। অন্যপ্রান্তে ঝড় তুলে কোহলিস শো দেখছেন রোহিত।তাতে ভারতও পেরিয়েছে দলীয় পঞ্চাশের ঘর।
গিলের বিদায়ে ভাঙল জুটি
আসরজুড়ে ভালো খেলে ফাইনালে এসে খেই হারালেন শুভমান গিল। শুরুতেই বিদায় নিয়েছেন তিনি। স্টার্কের শর্ট লেংথের বলে যেভাবে চেয়েছিলেন খেলতে পারেননি সেভাবে, লেংথও ঠিক সে শট খেলার পক্ষে ছিল না। গিলের পুলে সরাসরি ক্যাচ গেছে মিড অনে থাকা অ্যাডাম জাম্পার হাতে।
হ্যাজেলউডকে ব্যাক টু ব্যাক চারে রোহিতের শুরু
প্রথম ওভার দেখেশুনে খেলে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই চড়াও হয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। জশ হ্যাজেলউডের ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে রোহিতকে স্ট্রাইক দিয়েছিলেন শুভমান গিল।টানা দুই চারে হ্যাজেলউডকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতীয় ওপেনার।
অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে দুই দল
আগের ম্যাচে জয়ের ধারাবাহিকতায় এই ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে ভারত। ছয় ব্যাটসম্যানের সঙ্গে তিন জেনুইন পেসার ও দুই স্পিনার আছেন সেরা এগারোতে।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, মোহাম্মদ শামি, জসপ্রিত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব ও মোহাম্মদ সিরাজ।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার একাদশেও কোনো পরিববর্তন আসেনি। তাতে সাত ব্যাটসম্যানের সঙ্গে তিন পেসার ও এক স্পিনার নিয়ে শিরোপার লড়াইয়ে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার, ট্র্যাভিস হেড, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ, মারনাস লাবুসচেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জোশ ইঙ্গলিস (উইকেটরক্ষক), মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজলেউড।
ট্রফির স্বপ্ন বিভোর গোটা ভারত
তবে ট্রফির স্বপ্নে বিভোর থাকা গোটা দেশের আঁচ যে গায়ে লাগছে, সেটা স্বীকার করলেন রোহিত। তাতে ভালো কিছু উপহার দিতে চান, ‘ইমোশনালি, অবশ্যই এটা বড় ব্যাপার, বড় উপলক্ষ্য। কোনো সংশয় নেই। যতটা কঠোর পরিশ্রম, যত স্বপ্ন, সব এই দিনকে ঘিরেই। কালকে সেই দিনটি আমাদের সামনে আসছে। তবে পেশাদার অ্যাথলেটদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জই তো এটা যে, কীভাবে সবকিছু এক পাশে সরিয়ে মূল কাজে মনোযোগ দিতে পারে। আমার সঙ্গে আরও ১০ ক্রিকেটার কাল তাই মাঠে নামবে নিজেদের কাজে মন দিতে, জীবনের সেরা মুহূর্ত হিসেবে তারা ভাববে না।’
১ লাখ ৩২ হাজার দর্শককে চুপ করিয়ে দিতে চান কামিন্স
কিন্তু ফাইনালের দলটা অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালের মঞ্চে এলেই যাদের ক্রিকেটীয় ঐতিহ্য ঠিকরে বেরোয়। একবার জয়ের স্রোতে পড়ে গেলে সমুদ্র দখল না করে যে জোয়ার থামে না। গ্রুপ পর্বে সেটাই দেখালো প্যাট কামিন্সের দল। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তারা। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের চিরায়ত রক্ত প্রবাহিত হয় তাদের শিরায়। কামিন্স সেটাই আওড়ে গেলেন, ‘দর্শক সমর্থন অবশ্যই ভীষণ রকমের একতরফা থাকবে। বিশাল সংখ্যক দর্শককে চুপ করিয়ে দিতে পারার চেয়ে তৃপ্তিদায়ক কিছু খেলাধুলায় আর নেই!’
পরিসংখ্যানের লড়াই
পরিসংখ্যানের লড়াইয়ে জয়ের পাল্লা হেলে পড়ে আসরের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার দিকে। একদিনের ম্যাচে দুই দল একে অন্যকে মোকাবেলা করেছে ১৫০বার। তাতে অজিদের ৮৩ জয়ের বিপরীতে ভারত জিতেছে ৫৭টিতে। বাকি ১০ ম্যাচে ফল হয়নি।
আবার এই ৫৭ জয়ের মধ্যে ৩৩ ম্যাচে ঘরের মাঠে জয় পেয়েছে ভারত। প্রতিপক্ষের মাঠে ১৪ ও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ১০ জয় আছে রোহিত শর্মার দলের। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া নিজেদের মাটিতে জিতেছে ৩৮ ম্যাচ। ভারতের মাটিতে ৩৩ ম্যাচ জয়ের বিপরীতে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে জিতেছে ১২ ম্যাচ।
বিশ্বকাপে লড়াইয়ের হিসেব আসলেও এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। সব মিলিয়ে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে ১৩ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। তাতে অস্ট্রেলিয়ার ৮ জয়ের বিপরীতে ভারতের জয় ৫টিতে।তবে শেষ দুটি ম্যাচ কথা বলছে ভারতের পক্ষে। ২০১৯ সালে ও চলতি আসরের গ্রুপ পর্বে অজিদের হারিয়েছে ভারত।