নিজেস্ব প্রতিবেদক : আন্দোলনের পর এখন বিএনপি নেতাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা কোনও কিছু না পেয়ে গুহায় ঢুকে গেছে।

শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর আরামবাগে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে আ.লীগের ঢাকা বিভাগীয় জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এসময় জনসভার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচনে এই জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে আবারও বিজয়ী করতে হবে।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা বলেছিলো ২৮ তারিখের পর শেখ হাসিনার সরকার থাকবে না। তিনি আছেন, থাকবেন। তিনি তো আগামী আগামীর বিজয়বার্তা নিয়ে বসে আছেন। কিন্তু বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। টিভিতে দেখলাম, দৌড়ে পালাচ্ছে।

‘হরতাল ঘোষণার জন্য মির্জা ফখরুলকে পেছন থেকে টানছে। তারা বলেছিল, আমরা নাকি পালানোর পথ পাব না। এখন কোথায়, আমীর খসরু কোথায়? গয়েশ্বর বাবু কই? তারা কোনও কিছু না পেয়ে গুহায় ঢুকেছে। সেখান থেকে ব্রিফিং করছে।’

এসময় আগামী নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত ও সতর্ক পাহারায় থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোয়াটার ফাইনাল হয়ে গেছে। আমরা জিতে গেছি। সামনে সেমিফাইনাল, তারপরে ফাইনাল হবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। ঠিক আছে? সব রেডি তো? বাংলার মানুষ ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোথায়? বাড়াবাড়ি, লাফালাফি কোথায়? ২৮ তারিখ, তারপরে ২৯, ৩০, ৩১…। নভেম্বরের আজ ৪ তারিখ। শেখ হাসিনা নির্ধারিত সময়ে মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের শুভ উদ্বোধন করেছেন। তিনি আমাদেরর উপরে উন্নীত করছেন। ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ, এই ঢাকা সিটি আর ১৫ বছর পরের বাংলাদেশ, এই ঢাকা শহর দিনে-রাতের পার্থক্য।

তিনি বলেন, আজকের এই সময়ে একটি বিপদে আমরা আছি। সেটা বিশ্ব সংকট। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, এখন মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ, সুদানে যুদ্ধ, আজকে সারা দুনিয়া এই বিপদসংকুল পরিস্থিতিতে— বাংলাদেশ কিছুটা সমস্যায় আছে। কিন্তু মনে রাখবেন যেই নেতা বাংলাদেশে জনগণের জন্য রাতে ঘুমান না। ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার বেশি ঘুমান না। তিনি জনগণের কথা বলেন, চিন্তা করেন, কাজ করেন।

এসময় বিদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মান দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা তাকে বারবার নির্বাচিত করবো। তিনি বাংলাদেশকে যেখানে নিয়ে গেছেন, বিশ্ব নেতারা প্রশংসা করেন। আর আমাদের দেশের সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী একটি দল, তাদের দোসররা শেখ হাসিনাকে সম্মান করতে পারে না। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য এত কিছু করেছেন। একটা ধন্যবাদও এরা কোনও দিন দিতে পারেনি। দুর্ভাগ্য আমাদের। শেখ হাসিনা একা নির্বাচন করলে ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ (ভোট) পাবেন। এই জনপ্রিয়তা ওরা হিংসা করে, জ্বালায় মরে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ খোকন, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

যৌথভাবে জনসভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ প্রমুখ।