নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : বেতন বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন শ্রমিকরা। এই দুই মহাসড়কে চলছে না দূরপাল্লার কোনো গাড়ি। এমনকি আঞ্চলিক পরিবহনের সংখ্যাও খুবই কম। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। হাসপাতাল ও দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে।
এদিকে শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে গাজীপুরে অধিকাংশ কারখানা সাধারণ ছুটি দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন শ্রমিকরা। গাজীপুর মহানগর নলজানী, চান্দ্রনা চৌরাস্তা, ভোগরা, বাসন সড়ক এলাকায় শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবির টহল চলছে।
অপরদিকে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মৌচাক ও সফিপুর এলাকায় শ্রমিকরা মহাসড়ক বিক্ষোভ করে ভাঙচুর চালিয়েছে। তারা সফিপুর তানহা হাসপাতাল ভাঙচুর করেছে৷ আগুন দিয়েছে সফিপুর পুলিশ বক্সে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়িতে। পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে।
জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর রিপন নিটওয়্যার লিমিটেড, ডিবিএল গ্রুপের জিন্নাত কমপ্লেক্স, তুসুকা গ্রুপের ৫/৭ টি কারখানা, মিতালি ফ্যাশন, মাল্টি ফ্যাবস লিমিটেড, আলিম নিড টেক্স, এমএম নিড ওয়্যার, জিএমএস কমপোজিট নিট, পি.এন কম্পোজিট, মুকুল কম্পোজিটসহ অধিকাংশ কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে। এসব কারখানা কেউ ১ দিন কেউবা ২-৩ দিন ছুটি দিয়েছে।
তুসুকা কারখানার শ্রমিক আবিত হোসেন বলেন, আমাদের কারখানা ২ দিন ছুটি দিয়েছে। আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমাদের একজন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। এটার বিচার করতে হবে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, শ্রমিকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করেছে। মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়েছে। দোকানপাট ও একটি হাসপাতাল ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন।