রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ ৫ দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
ডেস্ক নিউজ : চলতি সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগসহ ৫ দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসব দাবি মানা না হলে আবারও রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানান সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
এসময় পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, যে শহীদ মিনার থেকে আমরা এক দফা দাবি তুলেছিলাম সে শহীদ মিনার থেকে পাঁচ দফা ঘোষণা দিচ্ছি।
দাবিগুলো হলো- ১.বিদ্যমান সংবিধান অনতিবিলম্বে বাতিল করে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে নতুন সংবিধান লিখতে হবে।
২. ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে এ সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করতে হবে।
৩. রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে এই সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।
৪. এই সপ্তাহের মধ্যে জুলাই বিপ্লবের আলোকে প্রোক্লেমেশন অব রিপাবলিক ঘোষণা করতে হবে। বাংলাদেশের বিদ্যমান গণতন্ত্রকামী ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলের মতের ভিত্তিতে বাংলাদেশ চলবে।
৫. ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। এ তিন নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তারা যেন কখনো বাংলাদেশে নির্বাচন করতে না পারেন, সেজন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাসনাত বলেন, এই সপ্তাহের মধ্যে আমাদের পাঁচ দফা দাবি না মানা হলে আমরা আবারও রাজপথে নেমে যাবো।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ ৫ দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। যে ছাত্রলীগের হাতে মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে মাসউদ বলেন, আমরা এই শহীদ মিনার থেকে আমাদের বিপ্লব শুরু করেছিলাম। সেই বিপ্লবের ভয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। আর এখন, আপনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে জনতার সঙ্গে প্রতারণা করছেন। কারণ, আপনি ৫ আগস্টে যা বলেছেন, তা এখন কার নির্দেশে ভুলে গিয়ে নতুন কথা বলছেন? আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই- খুনি হাসিনা যেভাবে পালিয়েছেন, রাষ্ট্রপতিকেও পালাতে হবে। দেশের প্রশ্নে, দশের প্রশ্নে বিপ্লবীরা সব সময় মাঠে আছে।
গণজমায়েতে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আবারও যদি প্রয়োজন হয়, আমরা আমাদের চোখ দিতে প্রস্তুত, পা দিতে প্রস্তুত, হাত দিতে প্রস্তুত, এমনকি জীবন দিতে প্রস্তুত আছি। ফ্যাসিস্ট দল ছাত্রলীগ যেভাবে আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে, তাদের উত্থান সহ্য করা হবে না।
সমাবেশে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা নানান স্লোগান দেন।