ডেস্ক নিউজ: সংসদ ভোট সফল করতে ১১ এজেন্ডা নিয়ে বসছে ইসি, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার লক্ষ্য নিয়ে আগামী ১ নভেম্বর বৈঠকটি করবে ইসি।
এতে ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বৈঠকটি নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে ওইদিন বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
এতে উপস্থিত থাকার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিবকে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।
এতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজনের করণীয় নির্ধারণ এবং সমন্বয় সহজীকরণের লক্ষ্যে আগামী ১ নভেম্বর বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনে এক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত থাকবেন। সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।
সভার আলোচ্যসূচি
ভোটকেন্দ্রের স্থাপনা মেরামত ও ভৌত অবকাঠামো সংস্কার;
পার্বত্য/দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারে নির্বাচনী মালামাল পরিবহন এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভোটকেন্দ্রে আনা-নেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া;
প্রচারমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার, উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া;
দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগে সহায়তা দেওয়া;
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা;
নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে পরিকল্পনা নেওয়া;
ঋণখেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, সংকলন ও প্রদানবিষয়ক কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করা;
নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন এবং মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শোডাউন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ;
বার্ষিক ও পাবলিক পরীক্ষার সময়সূচি পর্যালোচনা;
দৈনন্দিন আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা;
নির্বাচনী এলাকায় বিদ্যমান নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী অপসারণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া।
ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণে উল্লেখ করেছেন আগামী জানুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ভোটার ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন।
তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাই এবার ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়ছে ৫ শতাংশের মতো। খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে এবার ভোটকেন্দ্র টিকেছে ৪২ হাজার ১০৩টি। এতে ভোটকক্ষ রয়েছে দুই লাখ ৬০ হাজারের মতো।
নির্বাচনকে সামনে রেখে সব প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে ইসি। ভোটের উপকরণ কেনা প্রায় শেষ। মাঠপর্যায়ে পাঠানোর প্রক্রিয়াও চলছে। শুধু হয়েছে ভোট সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণও। এবার দশ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
এদিকে ব্যালট পেপারসহ আনুষঙ্গিক প্রচারপত্র ও ছাপার কাজ সরকারি মুদ্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন। চলছে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের অ্যাপ তৈরির কাজও।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ। এখন কেবল তফসিল ঘোষণাই বাকি।