1. admin@channel7bangla24.com : admin :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন

মানসম্পন্ন বই দিয়ে শৈশব রাঙিয়ে তুলতে চাই: মাহমুদুল হাসান

নিউজ ৭ বাংলা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০২৩
  • ২৬৭ বার পঠিত

এলাম, দেখলাম, জয় করলাম। কিন্ডারবুকস সম্পর্কে কথাটি বলা যায়। বইমেলায় প্রথমবার অংশগ্রহণ করেই পাঠকদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। টু প্রোভাইড বেস্ট কোয়ালিটি কনটেন্ট উইথ কস্ট ইফেক্টিভ ওয়ে তাদের মূলমন্ত্র। কিন্ডারবুকস-এর সূচনাকথা, স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলেছেন প্রকাশক মাহমুদুল হাসান। কথোপকথনে ছিলেন তাপস রায়।

তাপস রায়: বইমেলায় প্রথমবার অংশ নিয়েই কিন্ডারবুকস প্রশংসিত। এতে এটা প্রমাণিত যে, আপনারা সুচিন্তিত পরিকল্পনা করেই শিশুকিশোরদের উপযোগী প্রকাশনা করতে চাচ্ছেন। এই ভাবনাটা কীভাবে এলো?

মাহমুদুল হাসান: আমরা প্রকাশনা জগতে প্রায় ৩৮ বছর। আমার আব্বা শিক্ষকতা থেকে প্রকাশনা ব্যবসায় এসেছেন। তাঁর শিক্ষকতার যে ধরন, তিনি সেটা সারা বাংলাদেশে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। সেই ভাবনা থেকেই তিনি প্রকাশনায় আসেন। ফলে প্রকাশনা সম্পর্কে সবসময় আমার একটা আবেগ ছিল। মানুষকে সেবা দেয়ার, জাতির মেধা ও মনন বিকাশে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম বলে আমার মনে হয়েছে। মানুষের জীবনের শুরুর সময়, অর্থাৎ শিশুকিশোর বয়সে আমি যদি তার হাতে বেস্ট বইটা তুলে দিতে পারি, আমার মনে হয় তাহলে তার সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় কাজ হবে। সেই ভাবনা থেকেই কিন্ডারবুকস-এর যাত্রা।

কিন্ডারবুকস দিয়ে যদিও এবার আমরা প্রথম শিশুসাহিত্যের কিছু বই এনেছি, কিন্তু কিন্ডারবুকসের প্রথম পাবলিশড বই ছিল কিন্ডারগার্টেনের শিশুদের জন্য। বইগুলো সারা পৃথিবীতেই প্রচলিত। আমাদের দেশে ‘কেজি’র বই যেটা বলি, ঢাকা চট্টগ্রাম রাজশাহী সব বড় শহরেই এর পাবলিশার আছে। তারা জাস্ট লামসাম কোয়ালিটি দিয়ে ভালো একটা মুনাফা কামিয়ে নিচ্ছে। সেই জায়গায় আমার কাজের মূলমন্ত্র হচ্ছে, ‘টু এনশিওর কোয়ালিটি’। এতে মুনাফা যদি নাও হয় তবুও আমার ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করার জন্য কাজটি আমি করবো। অর্থাৎ আমার ব্র্যান্ড স্ট্রেন্থ তৈরির জন্য ভবিষ্যতের কথা ভেবে কাজ করছি। শুরুতেই আমরা নির্ধারণ করে নিয়েছি, বাচ্চাদের জন্য এমন কিছু প্রোডাক্ট আমরা মার্কেটে দিতে চাই যেখানে শুধু রিচ কনটেন্ট নয়, প্রোডাকশন কোয়ালিটিও বেস্ট হতে হবে। সে জায়গা থেকে আমরা চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চটা দেয়ার।

তাপস রায়: এ যুগের শিশুরা ডিভাইস ডিপেন্ডেন্ট। তাদের বইমুখী করা সামাজিক দায়িত্ব যেমন, তেমনি কাজটি চ্যালেঞ্জেরও বটে।

মাহমুদুল হাসান: আমরা এ বিষয়ে বিস্তর গবেষণা করেছি। এ যুগের বাচ্চারা মোস্টলি ডিভাইস ডিপেন্ডেন্ট। তারা বাবা-মা’র ফোন, আই প্যাড নিয়ে সময় কাটাচ্ছে। সারাদিন ইউটিউব দেখছে; এমনকি খাওয়ার সময়ও। সাহিত্যে তাদের সামনে কোনো হিরো নেই। আমরা যেহেতু নাইনটিজের ছেলে, তখনও কিন্তু কমিক্সের বই বা ভিন্ন ধরনের বই অনেকে পড়ত। তিন গোয়েন্দা ছিল। চাচা চৌধুরী ছিল। এখন কিন্তু এগুলো অনেকটা আড়ালে চলে গেছে। আসলে বই যে একটা এনজয়ের বস্তু সে কথাটাই আমরা ভুলে যেতে বসেছি। আমরা পাঠের সেই আনন্দ ফিরিয়ে আনতে চাই। এবং অবশ্যই সেটা; আমি আবারও বলছি- আই ওয়ান্ট টু বি বেস্ট কোয়ালিটি প্রোডাক্ট। ইট নট অনলি গুড কনটেন্ট, প্রিন্টিং কোয়ালিটি, ইলাস্ট্রেশন, বুক ডিজাইন এমনভাবে করতে চাই যাতে শিশুরা এনজয় করে। আমরা এভাবেই বইগুলো তৈরি করছি।

আরেকটা বিষয় শিশু-কিশোর আসলে ডিফারেন্ট ব্যাপার। শিশুদের জন্য যেভাবে কাজ করছি, বয়স ধরে ধরে কিশোরদের উপযোগী বইও আমরা করবো। কিন্তু মূল যে ব্যাপারটা বাংলাদেশের শিশুদের জন্য বেস্ট বুকস উইথ বেস্ট কোয়ালিটি অ্যান্ড উইথ মিনিমাম প্রাইস, এটা আমরা বজায় রাখব। এখানে একটা বিষয় স্মরণে রাখতে হবে, আমাদের প্রাইস এবং বাকিদের প্রাইস কিন্তু সেইম। কিন্তু কোয়ালিটি ধরে রাখতে আমাদের কস্টিং বাকিদের চেয়ে অলমোস্ট ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বেশি।

তাপস রায়: প্রোডাক্ট কোয়ালিটি পাবলিশারের হাতে। কিন্তু কনটেন্ট প্রকাশকের হাতে অনেক সময় থাকে না। তাছাড়া আমাদের ভালো কনটেন্টের সংকট রয়েছে। এ বিষয়ে কী ভাবছেন?

মাহমুদুল হাসান: আমাদের অনেক মেধাবী লেখক আছেন। অনেক প্রতিভাবান তরুণ আছেন। তাদের সুযোগ দিতে হবে। আমাদের লেখক আর প্রকাশকদের মধ্যে একটা গ্যাপ তৈরি হয়ে আছে। লেখকরা হয়তো এটা চাচ্ছে, প্রকাশক চাচ্ছে অন্যটা। দেয়ার ইজ নো মিডল গ্রাউন্ড। বিভিন্ন ধরনের সম্পর্কের গ্যাপ হবার কারণে অনেক লেখক হয়তো বই লিখছেন। প্রকাশক হয়তো কম বই প্রকাশ করছেন। আমরা যেটা করছি বেস্ট যারা আছেন, কনটেন্ট রাইটিংয়ে যাদের রিচ হিস্ট্রি আছে তাদের নিয়ে কাজ করছি। পাশাপাশি প্রতিভাবান তরুণদের চিহ্নিত করছি। তবে হ্যাঁ, অ্যাজ এ পাবলিশার আই হ্যাভ দ্য রাইট টু চুজ দ্য রাইটার এস ওয়েল। যে কেউ এসে বললেই আমরা তার বই প্রকাশ করবো না। এ জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রক্রিয়া মেনেই তাকে আসতে হবে।

তাপস রায়: একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। আপনারা এ বছর আহসান হাবীবের ‘ইলাস্ট্রেটেড জোকস’ করেছেন। কমিক নিয়ে আপনাদের আলাদা কোনো ভাবনা আছে কিনা?

মাহমুদুল হাসান: ডেফিনেটলি আছে। আমরা কিছু ক্যারেক্টার তৈরির কাজ শুরু করেছি। সময়ের কারণে এ মেলায় সেগুলো নিয়ে আসতে পারিনি। তবে আগামীতে পাঠক সেগুলো পাবেন। কমিক বুকস-এর ক্ষেত্রে অনেক সময় দিতে হয়। ক্যারেক্টার ডেভেলপ করতে সময় লাগে। কারণ শিশুরা যখন সেই ক্যারেক্টার দেখবে তাদের কাছে লাইভ মনে হবে। আমরা যখন ছোটবেলায় ‘নন্টে ফন্টে’ পড়তাম আমাদের কাছে মনে হতো আমরা ভিডিও দেখছি। অর্থাৎ কল্পনার একটা জগৎ তৈরি হতো মনের মধ্যে। আমরা সেরকম ক্যারেক্টার ক্রিয়েট করতে যাচ্ছি যেটা শিশুরা শুধু আনন্দ নিয়ে পড়বে না, তাদের মধ্যে পজিটিভ ইমপ্যাক্ট তৈরি করবে। শুধু তাই নয়, আমাদের সংস্কৃতিও সেখানে থাকতে হবে।

তাপস রায়: আমাদের সাহিত্যের অনুবাদ হচ্ছে না। ফলে পৃথিবীর ভিন্ন-ভাষী পাঠক সেগুলো পাঠ করতে পারছে না। কিন্ডারবুকস-এর এ বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা?

মাহমুদুল হাসান: আমাদের অবশ্যই এ বিষয়ে পরিকল্পনা আছে। দ্যাট ইজ দ্যা বিজনেস পয়েন্ট। এটা আমার সার্ভিস টু মাই কান্ট্রি। ইউএসএ বলেন, ইউকে বলেন, লন্ডনে বেঙ্গলি পাড়া যেটা হোয়াইট চ্যাপেল- সব বাঙালি, কিছু ইন্ডিয়ান যাই হোক, ওরা চায় ওদের বাচ্চারা বাঙালি কালচার কিছুটা হলেও শিখুক। সো দেয়ার আর হিউজ মার্কেট। আমাদের এখানে যে বইটা আসছে আপনি খেয়াল করে দেখবেন, বাইরের বইগুলোর প্রাইজিং আর আমাদের বইগুলোর প্রাইজিং অনেক তফাৎ। ফলে আমরা যদি আমাদের বই এক্সপোর্ট করতে পারি ফার্স্ট অফ অল আমরা রেমিটেন্স আয় করতে পারি, এক্সপোর্ট তো করতেই পারব। ইন্ডিয়াতে কিন্তু ব্যাপক বই এক্সপোর্ট হয়। দ্বিতীয়ত গার্মেন্টস যেভাবে কাজ করে বাইরে থেকে ফরেন ক্লায়েন্টদের প্রোডাক্ট ওরা প্রিন্ট করে এক্সপোর্ট করে। দেয়ার আই থিঙ্ক সেকেন্ড বিগেস্ট প্রিন্টিং মার্কেট প্লেস ইন দি ওয়ার্ল্ড। তো আমরা কেন পারব না? আমাদের সেই প্রিন্টিং ক্যাপাসিটি আছে। এছাড়া বাংলা ভাষা নিয়ে সারা বিশ্বে ইন্টারেস্ট আছে। যেমন আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমি যদি আমাদের সংস্কৃতি ফরেন মার্কেটে দিতে পারি আই থিঙ্ক দ্যাট ইজ এ ভেরি গুড পয়েন্ট অব মার্কেটিং। সংস্কৃতি তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে বই।

একুশে বইমেলায় কিন্ডারবুকস-এর স্টল শিশুকিশোরদের নজর কেড়েছে

তাপস রায়: কাগজের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব আমরা এবারের বইমেলায় দেখতে পাচ্ছি। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন?

মাহমুদুল হাসান: হ্যাঁ, বইমেলায় এর প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি। তবে কাগজের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। প্রথমত করোনাকালে এবং পরেও আমাদের বোর্ড এক্সামগুলো নেয়া হয়নি। খাতাগুলো কিন্তু র মেটেরিয়ালস হিসাবে কাগজ তৈরির কারখানাগুলোতে যায়। আরেকটা পয়েন্ট হচ্ছে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ। অনেক পেপার মিল এলসি করতে পারিনি। হয়তো পরবর্তীতে এটা ওপেন হয়ে যাবে। যাইহোক আমাদের পাল্প আসছে না। পর্যাপ্ত পাল্প না আসায় আমাদের যে ডিমান্ড সেই ডিমান্ড অনুযায়ী মিলগুলো কাগজ ডেলিভারি করতে পারছে না। কাগজের মূল্য বৃদ্ধির এগুলো মেজর কারণ। কাগজের মূল্য বেড়েছে আড়াই থেকে তিনগুণ। অথচ সে অনুযায়ী প্রকাশকরা বইয়ের মূল্য বাড়াতে পারছে না। যে বই পাঠক ২০০ টাকা দিয়ে কিনছে সেই বই ৬০০ টাকায় কিনতে হলে পাঠকের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। ফলে তাকে তখন দশটির জায়গায় চারটি বই কিনতে হবে। ছয়টি বই আনসোল্ড থেকে যাবে।

আমরা অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে চেষ্টা করেছি যেন প্রকাশকরা এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে। এজন্যই হয়তো প্রকাশনার সংখ্যাটা কমে গেছে। বই প্রকাশের সংখ্যাটাও কমে গেছে। আবার অন্যদিক থেকে চিন্তা করলে পাঠকের সংখ্যাও কমে গেছে। আমরা সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর আমরা ডিভাইস নির্ভর হয়ে যাচ্ছি। সোশ্যাল মিডিয়াতে যাদের লাখ লাখ ফলোয়ার রয়েছে তারা আবার রাইটার হিসেবে আসছে। আমরা দেখছি তাদের বইয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অনেক প্রমিনেন্ট রাইটারদের থেকে তাদের বই কেনার জন্য মেলায় মানুষ আসছে। যুগের সঙ্গে পাঠকের মন-মানসিকতার যে পরিবর্তন হচ্ছে আমার মনে হয়, পাঠক বৃদ্ধি করতে আমাদের সাহিত্যের ফাউন্ডেশন যারা গড়ে দিয়েছেন তাদের বইগুলো প্রমোট করা জরুরি। তাদের বইগুলো আবার আমাদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। এক কথায় তাদের ফ্রন্টে রাখতে হবে। আর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যারা আসছেন তারা অবশ্যই আমাদের জন্য ফিউচার অ্যাসেট। কিন্তু তাই বলে আমরা আমাদের ঐতিহ্য ছেড়ে চলে আসতে পারবো না। সো আমাদের ঐতিহ্যবাহী রাইটার যেমন লাগবে, তরুণ রাইটারও লাগবে, ছড়াকার লাগবে, কবি লাগবে, আর্টিস্ট লাগবে তাহলেই আমরা পাঠকদের বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারব ফর এ লং টাইম।

তাপস রায়: শেষ প্রশ্ন। কিন্ডারবুকস নিয়ে আপনার স্বপ্নের কথা জানতে চাই।

মাহমুদুল হাসান: কিন্ডারবুকস নিয়ে আমার একটি লম্বা পরিকল্পনা আছে। এই প্রজেক্ট আমার সন্তানের জন্য। কেন বললাম কথাটা? আমার একটা থিওরি সব সময় কাজ করে- যে প্রোডাক্ট আমি বানাবো, যে প্রোডাক্ট আমি আমার গ্রাহকের হাতে দেব, সেটা যেন আমি আমার বাচ্চাকেও দিতে পারি। আমার সন্তানকে যদি সেটা দিতে পারি তাহলে মনে করবো- দিস ইজ দ্যা রাইট প্রোডাক্ট। এই শিশুরা আমাদের সম্পদ। তাদের আর্লি এইজে সেই কোয়ালিটি বুকস, ইউনিক কনটেন্ট, মজার মজার ইলাস্ট্রেটেড বুকস দিয়ে শৈশবটা রাঙিয়ে তুলতে চাই। কিন্ডারবুকস-এর মাধ্যমে তাদের মেধা বিকাশে অবদান রাখার চেষ্টা করছি।

আরেকটি বিষয় হলো- রিচ কনটেন্ট উইথ বেস্ট প্রোডাকশন কোয়ালিটি। এখানে আমরা কোনো আপোস করবো না। আসলে বাংলাদেশে যে ভালো বই হয় না তা নয়, আমি চাচ্ছি সেই জায়গাটাতে সরবরাহ আরেকটু এভেইলেবল করা আমাদের শিশুদের জন্য। কিন্ডারবুকসের সূচনা ওই চিন্তা থেকেই মূলত। আর আমাদের মূলমন্ত্র আগেই বলেছি: টু প্রোভাইড বেস্ট কোয়ালিটি কনটেন্ট উইথ কস্ট ইফেক্টিভ ওয়ে। বিকজ এটাকে আমি মনে করি, আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা।

Facebook Comments Box
সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা