ডেস্ক নিউজ : অপেক্ষার পালা শেষ। শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব। আজ সকালে দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ, অধিবাস বা ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব। এছাড়াও মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে চণ্ডীপাঠ। বুধবার (০৯ অক্টোবর) বেলতলায় দেবীর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
ঢাকে পড়েছে কাঠি। বেজে উঠেছে শঙ্খ। ঘণ্টা আর কাঁসার ধ্বনির সঙ্গে উলুধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে চারপাশ। উৎসবের সাজে মণ্ডপে মণ্ডপে নেমেছে ভক্তদের ঢল। ধূপ-আগরবাতির গন্ধ মোহিত করে তুলেছে আঙিনা। বর্ণিল সাজসজ্জা, হইচই আর মহা ধুমধামের যেন শেষ নেই।
সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী, এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে। পালকি বা দোলায় দেবীর আগমন বা গমন হলে এর ফল হয় মড়ক। খাদ্যশস্যে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হবে ও রোগব্যাধি বাড়বে। এছাড়া দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। শাস্ত্র মতে দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফলাফল হয় ছত্রভঙ্গ। এটা সামাজিক ও রাজনৈতিক এলোমেলো অবস্থাকে ইঙ্গিত করে।
কাল বৃহস্পতিবার মহাসপ্তমী, শুক্রবার মহাঅষ্টমী আর শনিবার হবে মহানবমীর পূজা। পঞ্জিকা মতে, এবার মহানবমী পূজার পরই রোববার দশমী বিহিত পূজা হবে। এবার দেশের ৩১ হাজার ৪৬১টি মন্দির ও মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে দেবীপক্ষ ও শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্নের শুরু হয়।