নিজেস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে দেখিয়ে দেবেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি কতটা কঠোর হতে পারেন। শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দলের নেতাকর্মীদেরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে প্রস্তুত হতে হবে। তার আগে আমি বলব, বাড়াবাড়ি করবেন না। সারা বাংলাদেশে সবার উদ্দেশ্যে বলছি, বাড়াবাড়ি করবেন না। ক্ষমতার দাপট কেউ দেখাবেন না। কাউকে ক্ষমা করা হবে না। শেখ হাসিনার শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজরা এই দেশে বেশি দুর্নীতি দুর্নীতি করে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে…। তাদের মধ্যে কত যে দুর্নীতিবাজ, একটু খুঁজে দেখেন, পেয়ে যাবেন। দুর্নীতিবাজ আছে আশে-পাশে। দুর্নীতিবাজের ক্ষমা নেই।’
বিএনপির দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই, দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিএনপির কোনো কথা বলার থাকে না। কারণ, বিএনপি মানেই দুর্নীতিবাজ। জাতীয়তাবাদী দুর্নীতিবাজ দল, আমরা শক্তি আমরা বল।’
বিএনপিনেতা তারেক রহমানের দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারেক রহমান পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। কীসের অভিযোগ— হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার। এখন বিএনপির নেতারা দুর্নীতির বিরেুদ্ধে কথা বলে। আপনাদের এক নাম্বার নেতাই তো দুর্নীতিবাজ, হাজার হাজার টাকা পাচার করে আরাম-আয়াশে দিন কাটাচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের বৈধ নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ওই দুর্নীতিবাজকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে হবে, বিচার করতে হবে। সব তদন্ত হবে, কে কত টাকা বানিয়েছেন।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি, সাঈদ খোকন প্রমুখ।