ডেস্ক নিউজ : রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ শনিবার চতুর্থ দফায় সংলাপে বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বেলা ২টা থেকে এ সংলাপ শুরু হবে। তবে এবারের সংলাপেও জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ডাকা হয়নি।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তৃতীয় দফা সংলাপ হয়। ওই সংলাপেও ডাকা হয়নি জাতীয় পার্টিকে।
সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলটির ব্যাপারে আপত্তির কারণে তাদের আজকের সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। গত কয়েক দিন আগে রংপুরে সমন্বয়ক সারজিস ও হাসনাতকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে জাপা। এর প্রভাবে জাপাকে না হতে পারে।
জাপা নেতারা বলছেন, এবারের সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তারা। শেষ পর্যন্ত সংলাপে তাদের ডাকা হয়নি।
আজ শনিবারের সংলাপে গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট, আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক মুক্তি কাউন্সিলসহ বেশ কয়েকটি দল অংশ নেবে। সংলাপে অংশ না নেওয়া দলকে পরের দফায় আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানানো হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারের সংলাপ ছাড়াও আরও কয়েকটি বিষয়ে আলাপ হবে। তার মধ্যে দ্রব্যমূল্য উল্লেখযোগ্য। দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা উদ্বেগ কাজ করছে। এ কারণে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে। তবে এবারও সংলাপে ডাক পায়নি জাতীয় পার্টি।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা জানান, তাদের বিকেল ৪টায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সংলাপে তারা শিগগির নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি ছাড়াও সম্প্রতি পদত্যাগকারী পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে আওয়ামী দলীয় আখ্যা দিয়ে তাদের সুপারিশ করা ৪৩তম বিসিএসের নিয়োগ প্রজ্ঞাপন এবং ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার সব প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানাবেন। ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাবেন। এ ছাড়া বর্তমান ইস্যু দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় নতুন সরকার তিন দফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে। আগের তিন দফা সংলাপে আওয়ামী লীগ ও তার জোটের দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, আগামীতেও তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে না।