নিজেস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এটাই শেষ বার্তা। এমনটি বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) ওবায়দুল কাদের রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে এসে সমাবেশে যোগ দেন।
সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা আগামী নির্বাচন বানচালের যেকোনো অপচেষ্টা রাজপথে অবস্থান নিয়ে প্রতিহত করার প্রত্যয় জানান।
রাজপথ দখলে রেখে বিএনপিকে রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন নেতারা।
নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ৮০ দিন রাজপথে থাকার ঘোষণা আসে সমাবেশ থেকে। এ সময় সমাবেশ নেতারা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অবস্থান নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বার্তা দিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। আমি জিজ্ঞেস করি, কার কাছে ক্ষমতা দেবে? আপনার দণ্ডিত পলাতক যুবরাজের কাছে? আমি আপনাকে শেষ বার্তা দিয়ে গেলাম, আগামী নির্বাচনের সময় নির্বাচনী সরকারে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আরও বার্তা দিচ্ছি, আগামী নির্বাচনেও ইনশাল্লাহ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আবার শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকার হাতিরপুলে শুয়ে আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মৃত, আর ফিরে আসবে? তত্ত্বাবধায়ক সরকার মৃত, আর ফিরে আসবে না। মির্জা ফখরুলের পকেট গরম। মাল-পানির ভালোই সরবরাহ। পকেট গরম, কথাও গরম, হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আমাদের ধমক দেয়, আমাদের ভয় দেখায়। আমাদের বার্তা দিচ্ছে, দিনক্ষণ বলে দিচ্ছে কবে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। আমি ফখরুল সাহেবকে বলতে চাই, আজ নয়, কাল এভাবে বলবেন না, বলুন কখন শেষ বার্তা। আপনি আপনি বার্তা দেওয়ার কে?
তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন আর সফল হবে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম উৎসাহিত। কেন উৎসাহিত হচ্ছেন? আমি একটু বলি, পশ্চিমারা নাকি উৎসাহ দিচ্ছে, উনি উৎসাহিত হচ্ছেন। মির্জা ফখরুল সাহেব, পশ্চিমাদের অবস্থা ভালো নেই, যাদের কথা বলছেন, তাদের ঘর সামলানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের চারপাশের অশান্তি সামাল দিতে পারছে না। তারা ঘর সামলাবে না এখানে এসে আপনাদের উৎসাহ দেবে। আপনাদের উৎসাহ দেবে কখন? সময় শেষ, উৎসাহ দেবার দিন চলে গেছে। খেলা হবে, এই খেলায় জিততে হবে। তারা নাকি রাস্তায় নামবে। দাঁড়াতেই দেব না।
শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি। আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম আতিক প্রমুখ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে এ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের আয়োজন করে।
একই সময়ে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বায়তুল মোকাররমের অদূরে নয়াপল্টনে সমাবেশ করে বিএনপি।