বরিশাল: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে।
গত বছরের চেয়ে এবার মণ্ডপের সংখ্যা দুটি বেড়েছে। এবার ১৬৫টি মণ্ডপে পূজার আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরিশালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পূজা অনুষ্ঠিত হবে আগৈলঝাড়া উপজেলায়। দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। দেবী দুর্গার সঙ্গে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাল পাড়ার মৃৎশিল্পীরা।
আগৈলঝাড়া উপজেলা কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক বাকাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিপুল দাস জানান, এ বছর উপজেলায় ১৬৫টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে রাজিহার ইউনিয়নে ৫০টি, বাকাল ইউনিয়নে ৪১টি, বাগধা ইউনিয়নে ২৫টি, গৈলা ইউনিয়নে ২৭টি ও রত্নপুর ইউনিয়নে ২৩টি পূজা মণ্ডপসহ সর্বমোট ১৬৫টি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির শেষ হয়ে এখন চলছে দো-মাটির কাজ।
প্রতিমা তৈরির মৃৎশিল্পী উপজেলার পাল পাড়ার বাসিন্দা শিব শংকর পাল, সুদেব পাল, জয়দেব পাল, জয়দেব পালের ছেলে সঞ্জয় পালসহ মৃৎশিল্পীরা জানিয়েছেন, এ বছরও তারা অন্য বছরের মতো প্রতিমার আকার ও আয়তন ঠিক রেখেই প্রতিমা তৈরি করছেন। তবে এ বছর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় প্রতিমা তৈরির খরচ একটু বেশি পড়বে। প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে জানিয়ে পূজার এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতিমার গায়ে রং-তুলির আঁচড়ের কাজ শেষ করবেন বলে জানান তারা।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব হলেও আগৈলঝাড়ায় সম্প্রীতির বন্ধনে পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত রয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ষষ্ঠী পূজা শুরু থেকে শুরু করে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত মণ্ডপগুলোতে গুরুত্ব বিবেচনা করে তিন ভাগে ভাগ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া পূজা মণ্ডপের জন্য নিজস্ব পরিচালনা কমিটি গঠন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরার আওতায় রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যরা মোবাইল টিমে কাজ করবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, পূজায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। সে লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।