ক্রীড়া ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জিতে আফগানিস্তান চমকে দিয়েছিল। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা রেখে আফগানিস্তান দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে নিজেদের করে নিলো ওয়ানডে সিরিজ। এক ম্যাচ হাতে রেখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল তারা।
শুক্রবার শারজাহতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। আগে ব্যাটিং করে রহমানউল্লাহ গুরবাজের ১০৫ ও আজমতউল্লাহর উমারজাইয়ের ৮৬ রানের ইনিংসে ভর করে আফগানিস্তান ৩১১ রানের বিশাল পুঁজি পায়।
জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪ ওভারে ৭৩ রান তুলে ভালো জবাব দিচ্ছিল। এরপর ব্যাটিং ধ্বসে ৬১ রান তুলতেই তারা হারায় ১০ উইকেট। তাতে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে রানের হিসেবে পঞ্চম বড় হারের দেখা পায় প্রোটিয়ারা।
২৬ এ পা রাখা রশিদ খান বোলিংয়ে এসে মাত্র ১৯ রানে ৫ উইকেট নেন। তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফাইফারে আফগানিস্তান ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা সাফল্য নিশ্চিত করে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানিস্তান দারুণ সূচনা পায়। গুরবাজ ও রিয়াজ হাসান ৮৮ রানের জুটি গড়েন। যেখানে রিয়াজের অবদান কেবল ২৯। মার্করামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে রিয়াজ ফিরলে ক্রিজে আসেন রহমত শাহ। ডানহাতি ব্যাটসম্যান দারুণ ব্যাটিংয়ে তুলে নেন নিজের ২৯তম ওয়ানডে ফিফটি। অপরপ্রান্তে গুরবাজ এগিয়ে যান সেঞ্চুরির পথে। ক্যারিয়ারের সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিতে খেলেন ১০৭ বল। ১০৫ রানের ইনিংসটি সাজান ১০ চার ও ৩ ছক্কায়।
আফগানিস্তানের ইনিংসের মূল লাগাম টেনে ধরেন চারে নামা আজমতউল্লাহ। ৫০ বলে ৮৬ রান করেন এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান। ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ১৭২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে দলের রান তিনশ ছাড়িয়ে নেন। এছাড়া মোহাম্মদ নবী ১৩ ও রশিদ খান ৬ রান করেন।
প্রোটিয়াদের হয়ে বল হাতে ১টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিডি, নানড্রে বার্গার, কাবায়োজমি পেটের ও মার্করাম।
লক্ষ্য তাড়ায় টেম্বা বাভুমা ও টনি ডি জর্জি ৭৩ রান তুলে নেন। মনে হচ্ছিল ম্যাচটা রোমাঞ্চ ছড়াবে। আফগানিস্তানের জবাবে অতিথিরাও লড়াই করবে। কিন্তু উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতো ভাঙতে থাকে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ।
বাভুমাকে ৩৮ রানে আউট করেন উমারজাই। এরপর রশিদ খান ও নানগায়েলিয়া খারোটে মিলে তুলে নেন বাকি ৯ উইকেট। ৬১ রান তুলেতেই প্রোটিয়ারা অলআউট।
৯ ওভারে ১ মেডেনে ১৯ রানে ৫ উইকেট তুলে রশিদ নিজের জন্মদিন রাঙিয়েছেন। অন্যদিকে খারোটে ৬.২ ওভারে ২৬ রানে পেয়েছেন ৪ উইকেট।
আইসিসি র্যাংকিংয়ে প্রথম পাঁচ দলের বিপক্ষে এমন দাপুটে পারফরম্যান্স এর আগে করেনি আফগানিস্তান। নিঃসন্দেহে এই সাফল্য তাদের জন্য বিরাট কিছু।