হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জে টিউমার অপসারণের সময় এক নারীর খাদ্যনালী, জরায়ু ও কিডনি কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন নিহতের স্বজনেরা।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই রহমত আলী হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের স্টেনো মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- ডা. এসকে ঘোষ, দি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালের পরিচালক একে আরিফুল ইসলাম, দালাল জনি আহমেদ ও তাবির হোসাইন।
ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুবরণকারী ওই নারীর নাম রহিমা খাতুন। তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর পেটের টিউমার নিয়ে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে আসেন রহিমা খাতুন। এ সময় দালালরা তাকে ভুল বুঝিয়ে দি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেদিন রাতে ড. এসকে ঘোষ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই নারীর পেট থেকে টিউমার অপসারণ করেন। সেখানে তিনদিন থাকার পর তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
বাড়িতে আসার পর রহিমা অসুস্থ হয়ে পড়লে ফের দি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালে যান। পরে সেখান থেকে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকেরা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সিলেটের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে অভিযোগে বলা হয়, অপারেশনের সময় রহিমার খাদ্যনালী, জরায়ু ও বাম পাশের কিডনি কেটে ফেলায় তার মৃত্যু হয়েছে।