নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ওয়ারীতে দুই ভাইকে হত্যার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- আকবর হোসেন (৬০) ও তার ছেলে আসিফ সুলতান সিফাত (২৭) এবং আজাহারুল ইসলাম খান রিয়ান (২৮)।
শুক্রবার ঢাকার সাভার মডেল থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ছালেহ উদ্দিন।
ফ্ল্যাট নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৪ অগাস্ট ওয়ারীর হাটখোলা এলাকায় দুই ভাই আলামিন ভূইয়া ও নুরুল আমিন ভূইয়াকে হত্যার ঘটনা ঘটে। ডিসি ছালেহ উদ্দিন বলেন, “এ ঘটনায় ১৫ অগাস্ট ওয়ারী থানায় দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়।
“তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নির্ণয় করে সাভার মডেল থানা এলাকা থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।” গ্রেপ্তারদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাটখোলা রোডের নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি চাইনিজ কুড়াল, বৈদ্যুতিক শক স্ট্যান্ড, চাকু ও একটি স্টিলের ব্যাটন জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ছালেহ উদ্দিন বলেন, “২০১৪ সালে ভিকটিম আলামিন ভূইয়া হাটখোলা রোডের ‘ক্লাসিক রিয়েল স্টেট কোম্পানির’ সঙ্গে একটি ফ্ল্যাট ক্রয়ের চুক্তি করেন। জমির মালিক অ্যাডভোকেট আকবরের সঙ্গে একই বছর রিয়েল স্টেট কোম্পানির মালিক রিমনের ভবন তৈরির একটি চুক্তি হয়। কিন্তু রিমন সেই জমিতে ভবন তৈরি করেননি।
তিনি বলেন, “পরবর্তী ১০ বছরেও সেখানে ভবন নির্মাণ না করায় জমির মালিক আকবর নিজের অর্থায়নে একটি ভবন দুই তলা পর্যন্ত নির্মাণ করেন। ঘটনার দিন ভিকটিম আলামিন ছোটভাই নুরুল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে জমির মালিক আকবরের কাছে বলেন, ‘ক্লাসিক রিয়েল স্টেট কোম্পানির সঙ্গে আমার চুক্তি আছে আমাকে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেন’।
“সে সময় জমির মালিকের সঙ্গে তাদের মধ্যে কথা কথা কাটাকাটি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে গ্রেপ্তার সিফাতের নেতৃত্বে ভিকটিমদের এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।”