মো:আরিফুল ইসলাম: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু এবং লক্ষ্মীপুর-৩ এ নৌকা প্রতীক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু।
রোববার (৮ অক্টোবর) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ দুজনকে চূড়ান্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্বে করেন দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে পৌনে ৯টার দিকে গণভবনের সামনে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ১৬ জন দলীয় ফরম জমা দেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন— ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান রতন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আশীষ কুমার চক্রবর্তী, সরাইল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শাহ মফিজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ছফিউল্লাহ (হুমায়ুন মিয়া), জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মঈন উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান আনসারী, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুইবারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ তানবির হোসেন (কাউসার), প্রয়াত এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় যুব কমান্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান ও সরাইলের নোয়াগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল মিয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটিতে সবশেষ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে কোনও প্রার্থী দেওয়া হয়নি। সেই নির্বাচনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞাকে সমর্থন দেয় আওয়ামী লীগ। সে সময় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে যারা মনোনয়নপত্র নিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তারা প্রত্যাহার করে নেন। তাই ‘বিএনপির ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত এ আসনটিতে জয় পেতে মরিয়া আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে এমপি হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন বর্তমান ও সাবেক ১৪ নেতা।
এদের মধ্যে ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু, সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সাত্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো. আবুল হাসেম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহিম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাইফুল হাসান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মুহাম্মদ শওকত হায়াত, সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী সামীমা হায়দার চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য খোকন চন্দ্র পাল, মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাকিয়া সৃজনী শিউলী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফাহিম কামাল চৌধুরী উপল মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে, মিজানুর রহিম ও হাসিবুর রহিম সম্পর্কে আপন ভাই।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপিউকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল মারা যান। ৪ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১১ অক্টোবর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১২ অক্টোবর, মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১৩-১৭ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তি ১৮ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৫ নভেম্বর।