নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, আমি আজ সারা দিন কোথাও বের হইনি। আমি সারা দিন কবরস্থানেই ছিলাম।
তারপর পৌনে তিনটার সময় আদর্শ স্কুলে গিয়ে ভোটটা দেই। এর আগে কয়েকটা কল পাই।
নারায়ণগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তার কল যদি না পেতাম তাহলে বিশাল সমস্যা হয়ে যেত। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় টেলিফোন নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছিল না।
এমন প্রায় হাজার হাজার ভোটার ব্যাক করেছেন। কিছু পোশাকের লোক অনৈতিক ডিমান্ড করেছেন সেন্টারগুলোতে।
আমরা তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি।
রোববার (৭ জানুয়ারি) বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হবার পর গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, জুডিশিয়াল ডিপার্টমেন্টের কেউ কেউ চেষ্টা করেছেন আমার এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধি করে দেওয়ার। তারা স্বাধীনতাবিরোধী পরিবার থেকে এসেছেন। প্রশাসনে তারা আছে চাকরি করতে পারেন। তবে তারা উত্তেজনা সৃষ্টি করতে ত্রুটি রাখেননি। সিনিয়র নেতাদের সাথে এমন আচরণ করেছেন সামরিক আমলে এমনটা করলেও উত্তেজনা ছড়িয়ে যেত। আমি গতকালই নেতাকর্মীদের বলে দিয়েছিলাম উস্কানি দেওয়া হতে পারে। এগুলো না হলে ভোট আরও সাত-আট পার্সেন্ট বাড়ত।
তিনি বলেন, গতকাল রাতে ভোটকেন্দ্রে হামলা করেছে। জনগণই ওদের প্রতিহত করেছে। রাতে স্লোগান দিয়েছে ভোটকেন্দ্রে যাবে যারা লাশ হয়ে ফিরবে তারা। তারেকের নামে ও লোকাল নেতার নামে স্লোগান দিচ্ছিল। আমি অনুরোধ করব, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। এমন আতঙ্ক না ছড়ালে আরও বেশি ভোট পড়ত।
প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তারা ভালো কাজ করেছেন উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, তবে কিছু লোক ডিপার্টমেন্টকে বদনাম করতে এ কাজগুলো করেছে। আজ নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশ, কাল সরকারের অধীনে থাকবে। ওদের ফাইন্ডআউট করতে হবে। ওরা সব সময় সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য হুমকি।
নির্বাচন কমিশন অক্লান্ত পরিশ্রম করে নির্বাচন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা উস্কানিতে সাড়া দিলে নির্বাচন নষ্ট হতে পারত। আমরা আশা করি এর ন্যায়বিচার পাব। ওদের নেতারা অনেক কিছু বুঝিয়েছিল। হতাশা থেকে অনেক সময় মানুষ খারাপ কাজ করে।
শামীম ওসমান আরও বলেন, এই সন্ত্রাসী সংগঠন মুসলিম লীগের যে অবস্থা হয়েছে, আগামী দুই-তিন বছরে সেই অবস্থা হবে। এই নেতা তার কর্মীদের হাতেই মার খাবে। তার ননসেন্স কাজের জন্য এদের সবার কনভিকশন হবে। তারা তার নির্দেশেই তো এ কাজ করেছে। কাঁদবে কি তারেক রহমান? আমরা চাইলেও ওদের সেভ করতে পারব না। আদালত তো প্রমাণ দেখছে।